ঢাকা, সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪

গাজীপুরে ঝুট ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা উত্তরপাড়া নয়নপুর এলাকায়  ঝুট ব্যবসার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৮জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া নয়নপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটেছে। এ সময় দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটেছে বলেও  অভিযোগ পাওয়া গেছে।এতে ওই এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই এলাকার ডেকো গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় প্রায় তিন বছর ধরে ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে ঝুটের ব্যবসা করছেন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হাবিবুর রহমান সরকার লাবি। তার ওয়ার্ক অর্ডারের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ আগস্ট। এরই মধ্যে ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালান শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজি সুলতান উদ্দিন সরকার।তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আগামী ৩ সেপ্টেম্বর এর সুরাহা দেবে বলে দুপক্ষকে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে হাবিবুর রহমান সরকার কারখানার কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ট্রাকভর্তি ঝুট বের করার সময় হাজি সুলতান উদ্দিন সরকারপক্ষ বাধা দেয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাজি সুলতানের লোকজন ঝুটভর্তি ট্রাক নিতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে তারা ট্রাকে ভাঙচুর করে। তখন লাবির লোকজন পাল্টাহামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে লাবির সমর্থিত দুজনসহ আটজন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামের একজনকে রাতেই রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ বিষয়ে হাজি সুলতান উদ্দিন জানান, নাজিম, কাশেম ও লাবির নেতৃত্বে প্রায় ১০০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার মালিকানাধীন একটি মার্কেটসহ একটি অফিসকক্ষে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ সময় তারা পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ব্যাপক লুটতরাজও চালান তারা।এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মো. হাবিবুর রহমান সরকার লাবি বলেন, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি বৈধভাবে ঝুট ব্যবসা করে আসছি। বৃহস্পতিবার ট্রাকভর্তি ঝুট বের করার সময় হাজি সুলতানপক্ষ হামলা চালায়।শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা জেনে সেখানে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের নামে হাবিবুর রহমান সরকার একটি অভিযোগ করেছেন, যা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

ads

Our Facebook Page